প্রজননতন্ত্র

- সাধারণ বিজ্ঞান জীব বিজ্ঞান | - | NCTB BOOK
522
522

প্রজননতন্ত্র (Reproductive System)

নিষেক (Fertilization)

পুরুষ ও স্ত্রী জননকোষ একীভবনের পর এগুলোর নিউক্লিয়াসের পরস্পর মিলনকে নিষেক বলে। নিষেকের পর ৬ থেকে ৯ দিনের মধ্যে যে প্রক্রিয়ায় জাইগোটটি ব্লাস্টোসিস্ট অবস্থায় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামে সংস্থাপিত হয়, তাকে ইমপ্লেনটেশন বল।

 

common.content_added_by

নিষেক

410
410

নিষেক (Fertilization)

পুরুষ ও স্ত্রী জননকোষ একীভবনের পর এগুলোর নিউক্লিয়াসের পরস্পর মিলনকে নিষেক বলে। নিষেকের পর ৬ থেকে ৯ দিনের মধ্যে যে প্রক্রিয়ায় জাইগোটটি ব্লাস্টোসিস্ট অবস্থায় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামে সংস্থাপিত হয়, তাকে ইমপ্লেনটেশন বল।

 

common.content_added_by

পুরুষত্বহীনতা

454
454

পুরুষ্যত্বহীনতা (Erectile dysfjunction)

পুরুষত্বহীনতা হলো একজন পুরুষের যৌন মিলন করতে তার পুরুষাঙ্গের উত্থান রাখতে অসমর্থতা। পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘ঔষধ’ ভায়াগ্রাম। এর মূল উপাদান সিলডেনাফিল সাইট্রেট। ভায়াগ্রায় রয়েছে এক বিশেষ রাসায়নিক উপাদান যা পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এর ফলে পুরুষত্বহীন রোগী যৌন উত্তেজনা অনুভব করে এবং তাদের পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয়। পুরুষত্বহীনতায় ঔষধটির কার্যকারিতা প্রমাণিত হলেও এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। হার্ট ফেইলর, হার্ট অ্যাটাক, উচ্ছ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই ঔষধটি ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।

 

common.content_added_by

টেস্ট টিউব শিশু

524
524

টেস্ট টিউব শিশু (Test Tube Baby)

যে সকল দম্পতি কোন কারনে সন্তান জন্ম দিতে পারে না, সেই দম্পতির স্ত্রীর ডিম্বাণু শরীর থেকে বের করে এনে স্বামীর শুক্রাণুর সাথে টেস্ট টিউবের মধ্যে রেখে নিষিক্ত করে ২/৩ দিন পর নিষিক্ত ডিম্বাণু ও শুক্রাণু স্ত্রীর জরায়ুতে স্থান করা হলে যে ‍শিশু জন্মগ্রহণ করে, তাকে টেস্টটিউব বেবি বলে। বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউন ইংল্যান্ডের ওল্ডহেম শহরের কারশো নামক হাসপাতালে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহন করে। টেস্ট টিউব বেবি’ পদ্ধতির জনা রবার্ট এডওয়ার্ডস। বাংলাদেশে প্রথম টেস্ট টিউব শিশু জন্ম হয় ৩০মে, ২০০১ রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে।বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী প্রথম টেস্ট টিউব শিশু তিনটির নাম হিরা, মনি ও মুক্তা। টেস্ট টিউব শিশুত্রয়ের পিতা মাতা মো. আবু হানিফ ও ফিরোজা বেগম। টেস্ট টিউবের শিশুত্রয়ের জন্মদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ডা. পারভন ফাতেমা।

 

হিমায়িত ভ্রুণ শিশু

বাংলাদেশের প্রথম হিমায়িত ভ্রুণ শিশু অপ্সরা। অপ্সরা জন্ম হয় ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাজধানীর মডার্ন হাসপাতালে। হিমায়িত ভ্রুণ শিশু অপ্সরার রূপকার ডা. রাশিদা বেগম। ভ্রণ শিশু অপ্সরার বাবা ও মা যথাক্রমে আফজাল হোসেন এবং সালমা বেগম।

 

গর্ভবর্তী মায়ের পরিচর্যা

বিশ্বস্বাস্হ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেক মায়ের কমপক্ষে ৪ বার প্রসূতিকালীন পরিচর্যা (Antenatal Care – ANC) গ্রহণ করা উচিত। যথা: প্রথমবার গর্ভধারণের ১৬ সপ্তাহে, দ্বিতীয়বার ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে, তৃতীয়বার ৩২ সপ্তাহে এবং চতুর্থবার ৩৬ সপ্তাহে।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

হিমায়িত ভ্রুণ শিশু

667
667

হিমায়িত ভ্রুণ শিশু

বাংলাদেশের প্রথম হিমায়িত ভ্রুণ শিশু অপ্সরা। অপ্সরা জন্ম হয় ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাজধানীর মডার্ন হাসপাতালে। হিমায়িত ভ্রুণ শিশু অপ্সরার রূপকার ডা. রাশিদা বেগম। ভ্রণ শিশু অপ্সরার বাবা ও মা যথাক্রমে আফজাল হোসেন এবং সালমা বেগম।

 

 

common.content_added_by

জন্ম নিয়ন্ত্রণ

376
376

জন্ম নিয়ন্ত্রণ

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পরিবার পরিকল্পনার একটি অন্যতম বিভাগ। জন্ম বা গর্ভ ব্যাহত করার উপায়গুলোকে মূলত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা- শুক্রানু ও ডিম্বানুর মিলন ব্যাহত করা, ভ্রুণ সঞ্চারণ ব্যাহত করা এবং ঔষধ অথবা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ভ্রুণ অপসারণ করা। ধারণা করা হয় যে, যৌন মিলন ও গর্ভ ধরনের সরাসরি সংযোগ উপলব্ধির পরই জন্ম নিয়ন্ত্রণের আবিষ্কার হয়। প্রাচীনকালে বিঘ্নিত যৌন মিলন ও বিবিধ প্রকার প্রাকৃতিক ঔষধি (যা গর্ভনিরোধক হিসেবে প্রচলিত ছিল) সেবনের মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা করা হত। মিশরীয় সভ্যতায় সর্বপ্রথম গর্ভনিরোধক ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।

common.content_added_by

গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা

442
442

 

গর্ভবর্তী মায়ের পরিচর্যা

বিশ্বস্বাস্হ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেক মায়ের কমপক্ষে ৪ বার প্রসূতিকালীন পরিচর্যা (Antenatal Care – ANC) গ্রহণ করা উচিত। যথা: প্রথমবার গর্ভধারণের ১৬ সপ্তাহে, দ্বিতীয়বার ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে, তৃতীয়বার ৩২ সপ্তাহে এবং চতুর্থবার ৩৬ সপ্তাহে।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মা ও শিশু স্বাস্থ্য

511
511

মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য

মা ও শিশুর বিদ্যালয় পূর্ব বয়স পর্যন্ত প্রদেয় উন্নয়নমূলক, প্রতিরোধমূলক, আরোগ্য সহায়ক এবং পুনর্বাসনমূলক স্বাস্থ্য সেবাকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বলে। মা ও শিশুর বিদ্যালয় পূর্ব বয়স পর্যন্ত শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগজনিত সুস্থতা রক্ষার জন্য প্রদত্ত স্বাস্থ্য সেবাকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বলে।

 

উদ্দেশ্যঃ

> মাতৃ মৃত্যু, নবজাতক মৃত্যু হার হ্রাস করা;

> প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন;

> পরিবারে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ।

> মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উপাদান সমূহঃ

> মাতৃ স্বাস্থ্য;

> পরিবার পরিকল্পনা;

> শিশু স্বাস্থ্য;

> স্কুল স্বাস্থ্য;

> প্রতিবন্ধী শিশুর যত্ন;

> বিশেষ স্থানে শিশুর যত্ন যেমন, ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুর যত্ন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ভিটামিন ডি এর অভাবে
ভিটামিন এ এর অভাবে
ভিটামিন সি এর অভাবে
ভিটামিন কে এর অভাবে

কঙ্কালতন্ত্র (Skeletal System)

509
509

কঙ্কালতন্ত্র (SKeletal System)

অস্থি (Bone)

বিশেষ ধরনের যোজক কলা বা টিস্যু নির্মিত অস্থি ও তরুনাস্থির সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহের কাঠামো নির্মাণ করে, নরম অঙ্গগুলোকে সংরক্ষণ করে, দেহের ভার বহন করে এবং পেশী সংযোজনের জন্য উপযুক্ত স্থান সৃষ্টি করে তাকে কঙ্কালতন্ত্র বলে কঙ্কালের সবচেয়ে বড় অস্থি হলো ফিমার (উরুর অস্থি)। মেরুদণ্ডের প্রত্যেকটি অস্থিখণ্ডককে কশেরুকা বলে। প্যাটেলা হাঁটুতে অবস্থিত একটি ত্রিকোণকৃতি

মানুষের চলনে পেশি এবং অস্থি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবদেহে কঙ্কালতন্ত্রের কাঠামোর উপরে আচ্ছাদন হিসেবে পেশীতন্ত্র থাকে।

টেন্ডন: পেশীকে অস্থির সাথে দিয়ে যুক্ত রাখে।

লিগামেন্ট: এক অস্থিকে অন্য অস্থির সাথে সংযুক্ত রাখে।কারোটির অস্থির সংক্ষা ২২টি হলেও মধ্যকর্ণে ৬টি এবং মুখমগুলের ১টি এথময়েড অস্থি অতিরিক্তি গণনা করে অনেকে করোটির আস্থি সংক্ষা ২৯টি বলে থাকেন।

 

common.content_added_by

অস্থি (Bone)

520
520

 

অস্থি (Bone)

বিশেষ ধরনের যোজক কলা বা টিস্যু নির্মিত অস্থি ও তরুনাস্থির সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহের কাঠামো নির্মাণ করে, নরম অঙ্গগুলোকে সংরক্ষণ করে, দেহের ভার বহন করে এবং পেশী সংযোজনের জন্য উপযুক্ত স্থান সৃষ্টি করে তাকে কঙ্কালতন্ত্র বলে কঙ্কালের সবচেয়ে বড় অস্থি হলো ফিমার (উরুর অস্থি)। মেরুদণ্ডের প্রত্যেকটি অস্থিখণ্ডককে কশেরুকা বলে। প্যাটেলা হাঁটুতে অবস্থিত একটি ত্রিকোণকৃতি

মানুষের চলনে পেশি এবং অস্থি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবদেহে কঙ্কালতন্ত্রের কাঠামোর উপরে আচ্ছাদন হিসেবে পেশীতন্ত্র থাকে।

টেন্ডন: পেশীকে অস্থির সাথে দিয়ে যুক্ত রাখে।

লিগামেন্ট: এক অস্থিকে অন্য অস্থির সাথে সংযুক্ত রাখে।

কারোটির অস্থির সংক্ষা ২২টি হলেও মধ্যকর্ণে ৬টি এবং মুখমগুলের ১টি এথময়েড অস্থি অতিরিক্তি গণনা করে অনেকে করোটির আস্থি সংক্ষা ২৯টি বলে থাকেন।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অস্থিসন্ধি

630
630

অস্থিসন্ধি (Bone joints)

দুই বা ততোধিক অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। অস্থিগুলো পরস্পরের সাথে যোজক কলা দিয়ে এমনভাবে যুক্ত থাকে যাতে সংলগ্ন অস্থিগুলো বিভিন্ন মাত্রায় সঞ্চালিত হতে পারে অস্থিসন্ধি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা- তন্ত্তময় সন্ধি, তরুণাস্থিময় সন্ধি এবং সাইনোডিয়াল সন্ধি।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পঞ্চইন্দ্রিয় (5 Senses )

1.9k
1.9k

পঞ্চইন্দ্রিয় (5 Senses)

যে অঙ্গের সাহায্যে আমরা বাহিরের জগতকে অনুভব করতে পারি, তাকে সংবেদী অঙ্গ বলে। চোখ, কান, নাক, জিহবা ও ত্বক- এ পাঁচটি হচ্ছে মানুষের সংবেদী অঙ্গ। সাধারণ ভাসায় এদের পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে।

 

ত্বক: মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ। মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। মানুষের গায়ের রঙ মেলা-ি ননের উপর রির্ভর করে।

 

কান: শ্রবণ ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা কানের কাজ। মানুষের কান ৩টি অংশে বিভক্ত। যথা-

ক) বহিঃকর্ণ: কানে শব্দ তরঙ্গ প্রবেশ করলে প্রথম কানপর্দা কেঁপে উঠে।

খ) মধ্যকর্ণ: তিনটি হাড় থাকে। যথা- ম্যালিয়াস, ইনকাম এবং স্টেপিস। ‘স্টেপিস’ মানুষের দেহে সবচেয়ে ছোট অস্থি।

গ) অন্তঃকর্ণ: পাতলা পর্দা জাতীয় মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্হ নামক জটিল অঙ্গ দ্বারা অন্তঃকর্ন গঠিত। মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্হ দুটো প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত-

(১) ইউট্রিকুলাস (ভেরসাম্য অঙ্গ)

(২) স্রাকুলাস (শ্রবণ অঙঙ্গ): এর অঙ্কীয় দেশ হতে প্রলম্বিত এবং শামুকের ন্যায় প্যাঁচানো ‘ককলিয়া’ নামক নালী বের হয়। ককলিয়ার অন্তঃপ্রাচিরে থাকে শ্রবণ সংবেদী কোষ ‘অর্গান অফ কর্টি’।

 

common.content_added_by

রোগ প্রতিরোধ (Immune System)

587
587

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Immune System)

মানবদেহে রোগ জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য দ্বিস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা বিদ্যমান। যথা-

 

ক) প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তর (First line of defence): ত্বক, মিউকাস মেমব্রেন, সিলিয়া, লালারস, পাকস্থলী রস (Gastric Juice), আশ্রু, মূত্র প্রবাহ, Friendly ব্যাকটেরিয়া এবং নিউট্রোফিল। ত্বক দেহের অভ্যন্তরে রোগ জীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়। ত্বকগ্রন্হি ও ঘর্মগ্রন্হি হতে নিঃসৃত ফ্যাটি এসিড, ল্যাকটিক এসিড ভিবিন্ন রোগ জীবাণু মেরে ফেলে। মিউকাস মেমব্রেন থেকে নিঃসৃত হয় পিচ্ছিল মিউকাস। রোগ জীবাণু মিউকাসের পিচ্ছিল রসে আটকে যায়। পরবর্তীতে দেহ এসব রোগ জীবাণু বিশেষ পদ্ধতিতে বের করে দেয়। প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাহির থেকে অগনিত রোগ জীবাণু নাকে ঢোকে। নাকের ভিতর অনেক ছোট ছোট লোম থাকে। যাদের বলা হয় সিলিয়া। এরা এসব রোগ জীবাণুকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেয়। নাকের মতো শ্বাসনালীতে অনেক সিলিয়া থাকে যারা বাহিরের রোগ জীবাণু ফুসফুসে যেতে বাধাঁ দেয়। লালারসে লাইসোজাইম নামক এনজাইম থাকে যা ক্ষতিকর অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া এর কোষপ্রাচীর ভাঙ্গতে সাহায্য করে। পাকস্থলী রসে হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকে যা খাদ্যদ্রব্যে থাকা ব্যকটেরিয়া ও পরজীবী ধ্বংস করে।

 

খ) দ্বিতীয় প্রতিরক্ষাস্তর (Second line of defenc): লিম্ফোসাইট (T কোষ & B কোষ), মনোসাইট-ম্যাক্রোফেজ সিস্টেম।

 

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দূষিত খাদ্য, পানি দ্বারা

লালা গ্রন্থির দ্বারা

মশা কামড়ালে

কোনোটিই নয়

যা Anaemia সারায়

যা ইনফেকশন দূর করে

যা ব্লাডপ্রেসার কমায়

যা ব্যথা সারায় 

প্রাথমিক চিকিৎসা

433
433

 

প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid)

প্রাথমিক প্রতিবিধান হলো চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্তর্গত একটি প্রাথমিক বিভাগ। এই বিদ্যায় অবিজ্ঞ একজন প্রতিবিধানকারী কেউ দুর্ঘটনা বা অসুস্থ হলে তাকে সঠিক পদ্ধতিতে ও যত্ন সহকারে প্রাথমিক প্রতিবিধান দিতে পারে। পুরো চিকিৎসা করা প্রতিবিধানের উদ্দেশ্য নয় কারন প্রতিবিধানকারী চিকিৎসক নন। প্রতিবিধানকারী ডাক্তার আসার আগ পর্যন্ত বা হাসপাালে স্থানান্তর করার আগ পর্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা করা, রোগীর অবস্থা যেন আরও খারাপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

 

খ) চামরা ছড়ে যাওয়া হাতুড়ি, পাথর বা কোনো ভোঁতা জিনিসের আঘাতে বা খেলার সময় ছড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে করনীয়-

১) ছড়ে যাওয়া থেতলানো জায়গায় ঠাণ্ডা পানি বা বরফ লাগাতে হবে। পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান বেঁধে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে পুনরায় ভিজিয়ে দিতে হব।

২) রক্ত বের হলে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। জীবাণুমুক্ত তুলা দিয়ে জমাট রক্ত মুছে অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগাতে হবে।

 

খ) মাংসপেশিতে টান ধরা

খেলাধুলা করার সময় বা ভারী কোন জিনিস তোলার সময় মাংস পেশিতে টান লেগে মাংশপেশির আঁশ ছিড়ে ব্যথা অনুভূত হয় এবং চলতে গেলে কষ্ট হয়। এরূপ হলে আহত স্থানটিকে বিশ্রাম দিয়ে বরফ লাগাতে হবে। ২৪ ঘন্টা পর গরম পানিতে বোরিক এসিড পাউডারের কমপ্রেস প্রয়োগ করতে হবে।

 

গ) ফুলে যাওয়া

ফুটবল খেলার সময় বুটের আগাতে বক্সিং খেলার সময় মুষ্টির আঘাতে বা পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে ফোলা আস্তে আস্তে কমে যাবে।

 

ঘ) পুড়ে যাওয়া

সরাসরি আগুন বা পেট্রোল-এসিডের মতো রাসায়নিক পদার্থে পুড়ে প্রাথমিক চিকিৎসা হবে নিম্নরূপ-

১) আক্রান্ত স্থান শীতল পানির প্রবাহমান ধারার (যেমন-ট্যাপের পানি) নিচে ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখতে হবে। গা পুড়ে গেলে শাওয়ার বা গোছলের ঝরনার পানির নিচে দাঁড়াতে হবে। যদি সম্ভব না হয় তবে আক্রান্ত স্থান বালতির পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। সেটাও সম্ভব না হলে আক্রান্ত স্থানে পর্যাপ্ত পানি (গরম বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি নয়, সাধারণ তাপমাত্রার) ঢালতে হবে।

২) পোড়া অংশ শুকনো জীবাণুমুক্ত গজ বা ব্যান্ডেজ (তুলা নয়) দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যাতে জীবাণুর সংক্রমণ না হয়।

৩) ব্যথানাশক ঔষধ দিতে হবে। যেমন- প্যারাসিটামল।

৪) জ্ঞন থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাবার স্যালাইন বা শরবত বা ডাবের পানি খেতে দিতে হবে।

৫) ডিম, টুথপেস্ট, মাখন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের মলম ব্যবহার করা যাবে না।

৬) পোড়ার মাত্রার রোগীর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাই অল্প পুড়লেও একবার ডাক্তার দেখানো উচিত।

 

ঙ) হাড় ভাঙ্গা

১) হাত বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে বাঁশের চটা বা কাঠের টুকরা বা স্প্রীন্ট দিয়ে ভাঙ্গা জায়গাটি ব্যান্ডেজ বা এক টুকরা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিতে হবে যাতে ভাঙ্গা অংশ নড়াচড়া করতে না পারে।

২) হাতের হাড় ভেঙ্গে গেলে স্প্রীন্ট দেয়ার পর ব্যান্ডেজ বা কাপরের সাহায্যে হাতকে গলার সাথে ঝুলিয়ে দিতে হবে।

৩) কোমর বা মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে গেলে আহত ব্যক্তির শরীরের নিচে সাবধানে একটি কাঠের তক্তা স্থাপন করতে হবে এবং ব্যক্তিটিকে কাঠের তক্তার সাথে ব্যান্ডেজ বা কাপড়ের টুকরা দিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে (মাথা, বুক, কোমর, হাটু ও পায়ের পাতা বরাবর বাঁধন দিতে হবে) অতঃপর তক্তার দুইদিকে দড়ি ও বাঁশ বা কাঠের টুকরার সাহায্যে স্ট্রেচারের মত তৈরি করে রোগীকে দ্রুত অর্থোপেডিক্স (হাড় সংক্রান্ত) ডাক্তারের নিকট নিতে হবে।

 

চ) সাপের কামড়

সবচেয়ে বিশাক্ত সাপ কিং কোবরা। বিষধর সাপের কামড়ে ক্ষতস্থানে পাশাপাশি দুটো দাঁতের দাগ থাকে। বিষধর সাপ কাটলে প্রাথমিক করনীয়-

১) কামড়ের স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা।

২) উক্ত অঙ্গ যথাসম্ভব নিশ্চল রাখা কারণ বেশি নড়াচড়া করে বিষ তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে।

৩) কামড়ের স্থান হাতে বা পায়ে হলে কামড়ের স্থানের উপরে দড়ি বা কাপড় দিয়ে বাঁধা। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে বাঁধন যেন এত শক্ত না হয় যা হাত পায়ে রক্ত বাঁধা দেয়।

৪) দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

 

common.content_added_by

ফিজিওথেরাপি

464
464

ফিজিওথেরাপি (Physiotherapy)

ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে ফিজিওথেরাপি বা শারীরিা চিকিৎসার সৃষ্টি। প্রাচীন গ্রিসে হিপোক্রোটাস ম্যাসেজ ও ম্যানুয়াল থেরাপি দ্বারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সূচনা করেছিলেন। এটি বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি অন্যতম এবং অপরিহার্য শাখা। বাত ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড়-হাটু-গোড়ালি ব্যথা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, সেরিব্রাল পলসি (প্রতিবন্ধী শিশু), বার্ধক্য জনিত চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং পুনর্বাসন সেবায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অপরিসীম।

 

common.content_added_by

আকুপাংচার

421
421

আকুপাংচার (Acupuncture)

আকুপাংচার ব্যথা ও রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত প্রচীন চৈনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ল্যাটিন শব্দ ‘আকুশ’ মানে সুঁচা, ‘পাংচার’ মানে ফোটানো। এই পদ্ধতিতে দেহের বিভিন্ন আকু-বিন্দুতে বিশেষ এক ধরনের সুঁচ, ভেদ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেখে চিকিৎসা করা হয়। বিশেষ সুঁচালো আসলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে নিউরোট্রান্সমিটার নামের বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ও হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এটি প্রথমে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে আবিষ্কৃত হলেও পরে তা বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি পায় নি।

 

 

common.content_added_by

চিকিৎসা পরিভাষা

541
541
common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শব্দ তরঙ্গ
আলোক তরঙ্গ
শদ্বোত্তর তরঙ্গ
শব্দেতর তরঙ্গ
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion